একটি পরিবারের ঈদ আনন্দ ভেসে গেলো কান্নায়

লাশরাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের একটি বাসা থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সন্তানদের হারিয়ে দিশেহারা তাদের বাবা মা।

শনিবার (১ আগস্ট) বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোমিত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার মধ্যরাতে সাতারকুলের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় পোশাক শ্রমিক রফিকুল ইসলাম (২১) ও তার স্ত্রী জান্নাত (১৯) এর লাশ। এই ঘটনায় জান্নাতের বাবা একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

নিহত দুই জনের সুরতহাল প্রস্তুত করেছেন বাড্ডা থানার এসআই শহীদুল ইসলাম। তিনি সুরতহালে উল্লেখ করেছেন, জান্নাতের লাশ বাসার ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং তার স্বামী রফিকুল পড়ে ছিল খাটের ওপর।

পুলিশের ধারণা, এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। নিহত রফিকুল একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। বাড্ডা সাতারকুল ‘রহমতউল্লাহ গার্মেন্টস’র পেছনের একটি বাসায় প্রায় একবছর ধরে তারা ভাড়া থাকতেন। পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তারা।

নিহত রফিকুলের বাবা জালাল উদ্দিন জানান, রফিকুল ও জান্নাত একে অপরকে ভালোবেসে দেড় বছর আগে বিয়ে করে। শুক্রবার রাতে জান্নাত ও রফিকুলের কক্ষের ভেতরে কোনও সারাশব্দ না পেয়ে তারা দরজা ভেঙে দেখেন জান্নাত ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে, আর তার ছেলে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে রফিকুলকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তবে তারা কেন আত্মহত্যা করেছে তার কারণ বলতে পারেনি কেউ।