বিচারক এজলাসে আসলে শুনানি শুরু হয় ১১টা ১০ মিনিটে। এ সময়ে আদালতে বেঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা সাবরিনাকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অনুরোধে কাঠগড়ায় পাঠান বিচারক। এরপর অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদনসহ জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষ হয় ১১টা ৫০ মিনিটে। দীর্ঘ ৪০ মিনিট কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবরিনাকে পুরো সময় জুড়েই বিচলিত দেখা যায়।
শুরুতে কাঠগড়ায় উঠে স্বামী আরিফুলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সাবরিনাকে। এরপর তার নিয়োজিত আইনজীবীদের সঙ্গে একটু পর পর কথা বলেন। কী কথা হয়েছে−জানতে চাইলে তার আইনজীবীরা জানান, মামলার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এর বেশি কিছু না।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে সব আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবুসহ আরও কয়েকজন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন-
সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো
ক্ষেপে গিয়ে আরিফকে দোষারোপ সাবরিনার
ডা. সাবরিনা তার ফেসভ্যালু ক্যাপিটালাইজ করেছে: ডিবি
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট: জেকেজিকে বাদ দিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট: উপসর্গ থাকলে পজিটিভ, না থাকলে নেগেটিভ