ডান সাইড প্যারালাইজড হয়ে গেছে ওয়াহিদার

ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমদিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডান সাইড প্যারালাইজড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন  ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম।

তিনি রাত ৯টার দিকে জানান, তারা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়াহিদাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিচ্ছেন। এখন অপারেশন করা যাবে। তিনি বলেন, ‘আঘাত অত্যন্ত গুরুতর, মাথায় এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যে খুলির হাড় ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে ঢুকে গেছে। এ কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং শরীরের ডান পাশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে।’

ডা. বদরুল আলম বলেন, ‘তবে তাকে এখনও ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টার অবজারভেশনে রাখতে হবে। যেকোনও ‘সিচুয়েশনের’ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

তিনি আরও  বলেন, ‘তাদের হাসপাতালে একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে আছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক। ওয়াহিদাকে দেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রখ্যাত নিউরো সার্জন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।’ ভিসি স্যার তাকে দেখে অস্ত্রোপচার করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে গেছেন, বলেন অধ্যাপক বদরুল আলম। 

এর আগে ওয়াহিদা খানমকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে রংপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রসঙ্গত, বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। বাসায় ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে। মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে ওয়াহিদা খানম অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন:


ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থা সংকটাপন্ন, বিদেশে নেওয়ার পরিস্থিতিও নেই