রাজধানীর গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার বিপরীত পাশে পার্কের দেয়াল ঘেঁষে লাগানো রয়েছে ‘পোস্টার স্ট্যান্ড’। তার পাশে রয়েছে ডিএনসিসির সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস)। স্ট্যান্ডের গায়ে লেখা রয়েছে ‘পোস্টার লাগানোর নির্ধারিত স্থান’। পোস্টার লাগানোর নিয়মে বলা হয়েছে, ‘দড়িতে পোস্টার লাগিয়ে হুকের সঙ্গে দড়ি টাঙিয়ে দিতে হবে’। পোস্টারের মাপ হবে ১৮ ইঞ্চি বাই ২৪ ইঞ্চি। সেখানে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত স্থান ব্যতীত পোস্টার লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই স্ট্যান্ডটি সম্পূর্ণ খালি পড়ে আছে। অথচ তার পাশের একটি দেয়ালে পোস্টার লাগানো রয়েছে। শুধু এখানে নয়, মিরপুর–২ নম্বরে পিডব্লিউডি স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে, মিরপুর-১ রাইনখোলা মোড়, আসাদগেটে ফুটপাতের স্ট্যান্ডগুলো একই অবস্থা। ডিএনসিসির নির্ধারিত এইসব স্ট্যান্ড খালি রেখে মানুষ পোস্টার লাগাচ্ছে যত্রতত্র স্থানে। আর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশে পোস্টার স্ট্যান্ডটি নাই হয়ে গেছে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, মেয়র আনিসুল হকের সময়ে নির্ধারিত জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য নগরীর ১৯টি জায়গায় ২০টি স্টিলের কাঠামোয় পোস্টার স্ট্যান্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কয়েটি জায়গায় স্ট্যান্ড নাই হয়ে গেছে।
টিঅ্যান্ডটি মাঠের পাশেই ডিএনসিসির সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস)। সেখানকার পরিচ্ছন্নকর্মী আবুল কাশেম বলেন, আমরা তো বলতে পারবো না কারা পোস্টার স্ট্যান্ড নিয়ে গেছে। ফুটপাতের দোকানিরা হয়তো বলতে পারবে। তারা এখানে সারাক্ষণ থাকে।
দোকানি আলম হোসেন বলেন, আমরা বলতে পারবো না কারা নিয়ে গেছে। সারাদিন দোকান নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সিটি করপোরেশনের লোকজন ভালো বলতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে এবং নির্ধারিত জায়গায় পোস্টার লাগাতে বাধ্য করা গেলে নগরীর পরিবেশেও যেমন উন্নতি হবে, তেমনি দূষণও কমবে বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোন কোন জায়গায় পোস্টার স্ট্যান্ড আছে, আমাকে এই রকম কয়েকটি ছবি পাঠিয়েন তো। কোথায়-কোথায় জায়গায় আছে, একটু দেখতে চাই। আমি ঠিক জানি না। আপনি ছবি দিলে আমরা জন্য খুব সুবিধা হবে কাজ করতে। তাহলে আমি কালই এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে পারবো। এইরকম জায়গা খুঁজছি। আছি চাচ্ছিলাম পোস্টার লাগানোর জন্য কিছু কিছু জায়গা ঠিক করে দেওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমি তো এখন অবৈধ সাইনবোর্ডে উচ্ছেদ শুরু করেছি। শুধু তাই নয়, রাস্তার মধ্যে যাদের নির্মাণ সামগ্রী থাকবে সেটা সঙ্গে সঙ্গে নিলাম হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কিছু শুরু করবো। আমরা এখন রাস্তার পাশের দেয়ালে যারা ঠিকানা লেখবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাছাড়া আমাদের লোকবল কম ও ম্যাজিস্ট্রেট নাই।