প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষকরা যে পাড়া বা মহল্লায় থাকে, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকলে, বা কোনও পিতা-মাতার সন্তান ধর্ষক হলে তাদের সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে ঘৃণা, বর্জন এবং বিতাড়িত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এ দেশের নারীদের ধর্ষণ করেছিল, তাদের নিয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সরকার গঠন করে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বীজ বপন করে। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১ সালে নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে তাদের দলের লোকেরা পূর্ণিমা ও ফাহিমাসহ অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করে। তারা সে সময় বিচারও পায়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ থেকে ধর্ষকদের মূলোৎপাটন হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে দেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণের বিচারের রায় হতে শুরু হয়েছে।’ প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, ‘স্থানীয় সমাজের নেতা, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে বিয়ে নিবন্ধক ও পুরোহিতদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
নারী বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আকতারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম সচিব মো. মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাজী রওশন আক্তার বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। অপরাধ সংঘটিত হতে দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক পারভীন আকতার বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’