নিক্সন চৌধুরীর জামিন আপিলেও বহাল

মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী

নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া ৮ সপ্তাহের আগাম জামিনের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী এ আদেশ দেন।

আদালতে নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার ও সাইদ আহমেদ রাজা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এম.সাইফুল আলম।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা এই মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারোয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টে নিক্সন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা করে ইসি।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার নোয়াবুল ইসলাম ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায় এ মামলা করেন।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) হুমকি ও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের গালাগাল করার অভিযোগ উঠেছে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচন কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হুমকি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের গালাগাল করেন নিক্সন চৌধুরী। এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অশোভন আচরণের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।

সূত্র আরও জানায়, ওই চিঠি পর্যালোচনা করে কমিশন সচিবালয় উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী মামলার সিদ্ধান্ত নেয়। বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে নিক্সন চৌধুরীর অভিযোগ, তিনি কাউকে হুমকি দেননি। সুপার এডিট করে হুমকির ভিডিও প্রচার করে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি নিক্সন চৌধুরীর।

এরপর গত ১৮ অক্টোবর নিক্সন চৌধুরী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন।