১০ মাসে ২১৯ বিচারবহির্ভূত হত্যা

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)দেশে গত ১০ মাসে  ২১৯ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) আসক আয়োজিত সমসাময়িক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া, কারা হেফাজতে মৃত্যু, সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নারীর প্রতি সহিংসতা, শিশু নির্যাতন ও হত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের সংখ্যাগত চিত্র সভায় তুলে ধরা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহকারী সমন্বয়ক তামান্না হক রীতি স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি  থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৯টি জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ও তথাকথিত ক্রসফায়ারে ২১৯ জন মারা গেছেন। কারা হেফাজতে অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন ৬৩ জন। এরমধ্যে কয়েদি ২৬ জন এবং হাজতি ৩৭ জন।

একই সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২১৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি ও হত্যার শিকার হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ সময়কালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৯৭টি। এসব মামলায় ১৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিগত ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৩০৭ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৫ জনকে। এসব কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৩ জন নারী। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৭৫ জন নারী। এরমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ৩১৩ জন নারী। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৮০ জন নারী। এ সময়ে এক হাজার ৩৯৮টি শিশু শারীরিক নির্যাতনসহ নানা সহিংসতার শিকার হয়েছে। ৪৭৪টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এক হাজার ৩৯৮টি শিশুর মধ্যে ৮২৪টি শিশুকে ধর্ষণ ও ২৫টি ছেলে শিশুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে বলাৎকার করা হয়েছে।

গত ১০ মাসে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে নিহত হয়েছে ৪১ জন। এরমধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ৩৫ জন ও শারীরিক নির্যাতনে ৬ জন নিহত হয়েছেন। একইভাবে আহত হয়েছেন ২২ জন। অপহরণের শিকার হয়েছেন আরও ২০ জন।