ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা বৃহস্পতিবার

মজনু

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর)। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করবেন। রায়ে মামলার একমাত্র আসামি মজনুর সর্বোচ্ছ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে আসামি মজনুর আইনজীবীর প্রত্যাশা, মজনু খালাস পাবে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেন্জ বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) । মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ কার্যদিবসে কার্যক্রম শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামি মজনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে। তাই আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রত্যাশা করছি আসামি মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।'

অপরদিকে আসামি মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মজনুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে মজনু খালাস পাবেন বলে আশা করছি।’

এরআগে, ১২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।

এই মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ৯ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে সে। জবানবন্দি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে ধর্ষক মজনু কারাগারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।