পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা সাঈদ তারিকুল হাসান বৃহস্পতিবার বান্দরবানে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিক তাকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী আজুবা সুলতানা, দুই কন্যা তাসনিয়া আনজুম ও ওয়দিয়া আরওয়াসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাঈদ তারিকুল হাসান ১৯৭৫ সালের ২৭ নভেম্বর দিনাজপুর জেলার সদর থানাধীন মুদিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম আমিনুল ইসলাম এবং মাতা মোর্শেদা খাতুন। তিনি ২০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কর্মজীবনে সাঈদ তারিকুল হাসান রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং, ইউএন অ্যাফেয়োর্স, কমিউনিটি পুলিশিং এবং সর্বশেষ অপারেশন্স উইংয়ের এআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাঈদ তারিকুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পেশাগত কৃতিত্ব ও দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বিপিএম পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়া নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য ৪ বার আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন তিনি।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, মরহুমের জানাজা শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপির শোক
এআইজি সাঈদ তারিকুল হাসানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া আইজিপি তার শোক বার্তায় বলেন, ‘সাঈদ তারিকুল হাসান একজন দক্ষ, প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ একজন যোগ্য ও আদর্শ কর্মকর্তাকে হারালো।