‘বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তার কারণে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা’

বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা পেয়েছিলাম বলে আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। তার দূরদর্শী চিন্তা এবং সাহসের কারণে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা। রবিবার (৩ জানুয়ারি) মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিবেশ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান স্বাধীনতার পরপরই যখন বলা হয় উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা তখনই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর গলার স্বরে একটা আবেদন ছিল, এটা মানুষকে আকৃষ্ট করতো। তিনি রেসকোর্স এর ময়দানে যখন বললেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তখনই আমরা বুঝলাম তিনি স্বাধীনতার ডাক দিলেন। অনেকেই বলতেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেছিলেন তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো। এর অর্থ হচ্ছে আমাদের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসার আগেই কিছু কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে আছে, আমরা যখন কুষ্টিয়া দখল করলাম, তখন আমাদের কাছে অল্প অস্ত্রশস্ত্র ছিল, কিন্তু লাখো মানুষের কণ্ঠে ছিল জয় বাংলা। মুল শক্তিই ছিল এই জয় বাংলা শ্লোগান।
প্রধান অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি। লক্ষকোটি বাঙালি তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। বঙ্গবন্ধু আমাদের পতাকা, মানচিত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।