গত বছর নির্যাতনের শিকার ১৫২১ শিশু

২০২০ সালে একহাজার ৫২১টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে  মেয়ে শিশু ১০৮৮ আর ছেলে শিশুর সংখ্যা ৪৩৩। নির্যাতনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৬২৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৬১৬ এবং ছেলে শিশুর ১০টি। নির্যঅতনের শিকার হয়ে মারা গেছে ১৪ শিশু।

শনিবার  (৯ জানুয়ারি) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘শিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট ২০২০ পত্রপত্রিকার পাতা থেকে’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। পুরো প্রতিবেদনটি আটটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।  

সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, এই নির্যাতন বন্ধ করতে হবে যৌথ অ্যাকশন প্ল্যান করা। সেই প্ল্যান কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং সেই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর কি কি লাগবে তাও আমাদের ভাবতে হবে। শিশুদের আলাদা অধিদফতর আসলেই আমাদের দরকার।  মহিলা ও শিশু হলে গুরুত্ব কম দেওয়া হয়। ককাসের মাধ্যমে কাজ করা দরকার।  এতে পলিসিগত লেভেলে কীভাবে কাজ করা যায়। গণমাধ্যমের এইক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা আছে। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ( শিশু ও সমন্বয়) মুহিবুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সব শিশুর নিরাপত্তা চাই। গতবারের তুলনায় বাড়লো কী কমলো সেটা মূল বিষয় নয়। মেয়ে শিশুরা এখনও সমাজে ভালনারেবল অবস্থায় আছে। আমরা এখনও এই বিষয়ে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনের প্রত্যেকটি জায়গায় দেখা যায় এটি সামাজিক সমস্যা।  শুধু আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সামাজিকভাবেই এটি মোকাবিলা করতে হবে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে নিয়েই কাজ করতে হবে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীনা আনাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ৮টি পত্রিকা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করি। ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের ঘটনাই আমরা দেখি। সব ঘটনা পত্রিকায় আসে না। তবু আমরা চেষ্টা করি। আমরা দুই বছরের তুলনা করে থাকি। এইবার করোনার এই সময়টি একটা ইউনিক সময়। স্কুল কলেজ সব বন্ধ ছিল। বাচ্চারা সব বাসায় বন্দিই ছিল। বাড়িতে থাকার পরও অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাহিমা সুলতানা কাজল, পাপড়ি বোস, শাহানা হুদা রঞ্জনাসহ অন্যরা।