বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৭ জন সিবিএ নেতাকে দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের  নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দুদককে এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘দুদক আইন অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি কোনও নোটিশের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে সে কারণে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিধান রয়েছে। এরপরও দুদক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, সিবিএ নেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে না চলে, তাহলে আইনের শাসন ব্যাহত হতে পারে। আইনের দৃষ্টিতে যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ওই ঘটনায় হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ বিমানের ১৭ জন সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয় তদন্তের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে সিবিএ নেতা মো. মসিকুর রহমান, আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান, মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারী, মো. ফিরোজুল ইসলাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজ ওই নোটিশে দুদকে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান।

ওই ১৭ নেতা হাজির হতে অস্বীকৃতি জানালেও দুদকের পক্ষ থেকে আর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সেসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। সেই রিটের শুনানি নিয়ে ওই ১৭ জনের ক্ষেত্রে দুদকের পদক্ষেপে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।