সেই বরকত-রুবেলের ১৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৫৭০৬ বিঘা সম্পদ জব্দ

রাজধানীর কাফরুল থানায় দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুরের দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের ১৮৮টি ব্যাংক হিসাব এবং ৪৮৭টি তফসিলে ৫৭০৬ বিঘা জমি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় পৌনে ১০ কোটি টাকা আছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।  আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে আলোচিত এই দুই ভাইয়ের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের সন্ধান পায় মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। অনুসন্ধানে তাদের ৪৮৭টি তফসিলে ৫৭০৬ বিঘা জমি ও ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবের পৌনে ১০কেটি টাকা সহ ৫৫টি গাড়ির সন্ধান পায় তারা। আজ আদালতে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত এসব সম্পদ জব্দের আবেদন জানায় সংস্থাটি। শুনানি শেষে বরকত ও রুবেলের ওই সব সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ জুন রাতে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরও সাত জন। এর পরে সিআইডি পুলিশ বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের তথ্য পাওয়া গেলে গত বছর ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা করে সিআইডি। সেই মামলায় আদালতের মাধ্যমে রুবেল ও বরকতকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেসময় এর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা।

এ ঘটনার পর বরকতকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রুবেলকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- 

আ.লীগ নেতাসহ পাঁচ জনের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির স্বীকারোক্তি

ফরিদপুরের সেই ২ ভাইকে জামিন দেননি হাইকোর্ট