একসঙ্গে চুল কাটা ও বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সরকার

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ১০০টি ‘সেলুন লাইব্রেরি’ স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘এখন সেলুনে বসে অযথা গল্প না করে বই পড়তে পারবেন পাঠকেরা।’

সোমবার (৮ মার্চ) শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের সেমিনার কক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। এ ধরনের পাঠাগার নির্মাণে সরকার সব সময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। এখন বেসরকারি পাঠাগারগুলোতে সরকারি অনুদান বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় নেত্রকোনার সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মালিক খসরু, অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশে বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদের মহাসচিব নাসিম আহমেদ সভায় বক্তব্য রাখেন।

সোমবার পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ- এর চেয়ারম্যান ইমাম হোসাইন সই করা  সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লালমনিরহাটের এক তরুণ  ‘সেলুন লাইব্রেরি' প্রতিষ্ঠা করে নজির স্থাপন করেছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ১০০টি ‘সেলুন লাইব্রেরি’ স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন সেলুনে বসে অযথা গল্প না করে বই পড়তে পারবেন পাঠকেরা। ভবিষ্যতে সেলুন লাইব্রেরি এবং পাঠাগারের বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

সভায় উপস্থিত নেত্রকোনার সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী বলেন, ‘বেসরকারি পাঠাগারে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং সরকারি অনুদান বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক।’ বিষয়টি তিনি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান।

সভায়  বক্তারা বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত আড়াই হাজার পাঠাগার রয়েছে। কিন্তু এসব পাঠাগারে গ্রন্থাগারিক না থাকায় পাঠাগারগুলো পাঠকপ্রিয় হচ্ছে না। তাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এসব পাঠাগারে একজন করে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং সরকারি অনুদান বাড়ানো জরুরি।