‘নারী ও কন্যাশিশুরা বড় ঝুঁকির মধ্যে থেকে গেছে’

করোনা মহামারিকালীন জেন্ডারভিত্তিক অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে দেশে নারী, কন্যাশিশুরা বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েই গেছে। সমাজে অবস্থানের দিক থেকে দুর্বলতার মাপকাঠিতে নারী ও পুরুষের মধ্যে বেশ বড় ফারাক আছে। নারী মানসিক ও শারীরিক নিপীড়নের কারণে ক্রমাগত দুর্বলতর হচ্ছে। করোনার কারণে নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পাওয়ার হারও কমে গেছে।

বুধবার (৩১ মার্চ) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাকের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ যৌথভাবে উত্থাপিত ‘লাইফ ইন দ্যা টাইমস অব করোনা ভাইরাস: এ জেন্ডার পারসপেকটিভ, এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ বিষয়ক একটি গবেষণাপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। এই কাজে সহায়তা করেছে শেয়ার নেট ইন্টারন্যাশনাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ঘটমান বিষয় ছিল স্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক সংকট, যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা গ্রহণে প্রভাব রাখবে। করোনার পুরো সময়কালে জেন্ডার সম্পর্ক এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে দৃষ্টিও খুব কম দেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, করোনার মতো সংক্রামক রোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও দেখা গেছে নারীর স্বাস্থ্য চিন্তা সেখানে অপ্রধান বা গৌণ। বিশেষ করে নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়টিও এই করোনাকালে খুবই অবহেলিত ছিল। কারণ এসময়ে প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সুবিধাদি যেমন স্থায়ী ক্লিনিক, গৃহ-পর্যন্ত সেবা প্রদান, সেবাদানের সময় কমে যাওয়াসহ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। সেইসাথে কমেছে সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন জানায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে দেশের ১০ টি অঞ্চলে। অঞ্চলগুলো হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী, বরগুনা, নীলফামারী, ঢাকা মহানগরী এবং সাভার।

গবেষণায় জড়িত ছিলেন শাহানা সিদ্দিকী, ফারহানা আলাম, সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস এবং সামিরা আহমেদ রাহা।