কাকে নিয়ে রিসোর্টে গিয়েছিলেন মামুনুল হক?

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ‘নারীসহ’ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের হামলার মুখে পড়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক বলছেন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়েই তিনি সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে যান। তবে তার দল খেলাফতে মজলিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দ্বিতীয় বিবাহের কথা দলীয়ভাবে অজানা ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে মামুনুল হক আগে কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি।

তবে বিষয়টি ষড়যন্ত্র কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তার দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন শনিবার পৌনে সাতটার সময় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের নেতাদের বিষয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নানামুখী এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে আজকের এই ঘটনাটিও ষড়যন্ত্র কিনা, আমরা দলীয়ভাবে তা খতিয়ে দেখবো। ঘটনাটি আমরা মাত্র কয়েক মিনিট আগে শুনেছি, আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বশীলরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, মাওলানা মামুনুল হক আজ সকালেই মোহাম্মদপুর থেকে কেরানীগঞ্জে তার মাদ্রাসার উদ্দেশে যান। আজ তার সঙ্গে ড্রাইভার ও সহকারী কেউই ছিলেন না। এরপর দলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বলে সূত্রটির দাবি।

ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক বলছেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়েই তিনি সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে যান। তবে সূত্রটি তার দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। মজলিসের দায়িত্বশীল এই সূত্রটি জানায়, দ্বিতীয় বিবাহের কথা দলীয়ভাবে আগে অজানা ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে মামুনুল হক কোনও তথ্য প্রকাশ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মামুনুল হকের বড় ভাই মাওলানা মাহফুজুল হককে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।