‘জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা’

আগামী জুনের মধ্যেই জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ও  মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) অনলাইনে আয়োজিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির তৃতীয় ও চূড়ান্ত কনসালটেটিভ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটি ইতোমধ্যে রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহের অংশগ্রহণকারী এবং অংশীদারদের সঙ্গে দুটি বিভাগীয় পরামর্শ সভা সম্পন্ন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কার্যপরিধির মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নীতিমালার কাজ সম্পন্ন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালার সারসংক্ষেপ অনুমোদ নেওয়া হয়েছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নীতিমালাটি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগগুলোকে আরও শক্তিশালী করে তাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে সুরক্ষার জন্য বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে, যা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

সভায় অংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবীর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তাই তাদের স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।’