কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহের চাপ, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না

অনলাইনের পাশাপাশি অর্ধেক টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৮ জুন থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে কর্তৃপক্ষ। সে থেকেই ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রীরা স্টেশনের কাউন্টার থেকে কিনতে পারবেন। ২৫ শতাংশ অনলাইনে। আর করোনা পরিস্থিতির কারণে বাকি ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা থাকবে। ফলে স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে কাউন্টারে মানুষের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে কমিউটার ট্রেনগুলোতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের অনেকে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। বিশেষ নিম্নআয়ের লোকজন বা যারা প্রযুক্তির ব্যবহার বুঝেন না তারা এখন সহজেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। টিকিট সংগ্রহের সময় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মানা হয় না।

আজ দুপুরে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে দীর্ঘ লাইন। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই নেই। গাদাগাদি করে টিকিট সংগ্রহ করছে মানুষ। অপরদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা বা স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করা ট্রেনগুলোতে যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। কোনও আসন ফাঁকা নেই।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে ৩৫ জোড় আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছেন। এছাড়া ১৮ জোড় কমিউটার ট্রেন চলছে।

জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মানুষের যথেষ্ট ভিড় রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না কেউ। আমরা মাস্ক ব্যবহারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

এর আগে ৮ জুন মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ দেশের সব স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচল করছে। যার টিকিট একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে বিক্রয় করা হচ্ছে। ট্রেনের মূল আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপ এবং ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয় করা হচ্ছে। যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকিট একইসঙ্গে অনলাইন বা কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। সে সঙ্গে ক্রয়কৃত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফেরত (রিফান্ড) দিতেও পারবেন।