ফোন ছিনতাই অর্ডিনারি অ্যাক্সিডেন্ট: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজের ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনাকে অর্ডিনারি অ্যাক্সিডেন্ট বলে আখ্যায়িত করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, লন্ডনেও এ রকম ঘটনা ঘটে। সেখানে রানির বাড়ির সামনে থেকেও ফোন চুরি হয়। তিনি বলেন, ‘যাদের হাতে পড়েছে, তারা ফোনটিতে চার্জ দিচ্ছে না বলে অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।’ চার্জ হলে অবস্থান শনাক্ত করা সহজ হতো বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) একনেক সভা শেষে সংবদ সম্মেলনে ফোন উদ্ধারের ব্যাপারে নতুন কোনও তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

দীর্ঘ ২৪ দিনেও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়নি। এমনকি গ্রেফতার করা যায়নি ছিনতাইকারীকেও।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ১২/১৪ কোটির মতো লাইভ (সক্রিয়) ফোন আছে। এর মধ্যে প্রত্যেক দিন মরবে বা হারিয়ে যাবে, এটা যেকোনও সমাজেই হচ্ছে। আমি শুনেছি, লন্ডনেও এ রকম হয়। আমার দেশি বহু লোক লন্ডনে বাস করে। তারা বলে যে, রানির বাড়ির সামনে থেকে ফোন নিয়ে গেছে আমার।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাগরিক হিসেবে যা দেখছি, আমার জীবদ্দশায় ট্রিমেন্ডাস ইম্প্রুভমেন্ট (বিস্ময়কর উন্নতি) হয়েছে। আমাদের সরকার আছে বলে নয়, এই ঢাকা শহরে ৪০ বছর আগে চলাফেরা করতে গিয়ে কত রকমের দুর্ভোগের শিকার যে আমরা হয়েছি! তার তুলনায় এখন মেয়েছেলেরা ভালো পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে পারে। এটা আরও ইম্প্রুভ (উন্নতি) করা দরকার। এটা নিত্য আমরা চালিয়ে যাবো।’

মোবাইল খুঁজে না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, মোবাইলটাকে তারা আর চার্জ করছে না। ইট ইজ অ্যা ডেড ফোন নাউ। ডেডবডি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদি একটাকে চার্জ করতো তাহলে লোকেট (শনাক্ত) করা সহজ হতো। এটা এভাবেই আছে। এটা নিয়ে আমি দুঃখিত বা শঙ্কিত নই। এটা একটা সাধারণ দুর্ঘটনা (অর্ডিনারি এক্সিডেন্ট)।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয় সরণি থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে যায়। যানজটে গাড়ি আটকে থাকা অবস্থায় মন্ত্রী এ ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন।