বাস টার্মিনালে পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তায় যুবক

শ্বশুরের অসুস্থতার খবর পেয়ে নোয়াখালী থেকে পরিবার নিয়ে গতকাল রওনা দিয়েছিলেন আল-আমিন নামের এক যুবক। এদিকে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে সরকার আশপাশের সাত জেলায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ছয়টা থেকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার পথে ঢাকায় এসে আটকা পড়েছে আল-আমিনের পরিবার। কোনদিকে যাওয়ার মতো বাস না পেয়ে অনিয়শ্চয়তায় অপেক্ষা করছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় আল-আমিনের সঙ্গে। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে গরম; এমন পরিস্থিতে ছোট শিশুটিকে বাতাস করছিলেন তিনি। বেকায়দায় পড়া আল-আমিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় খবর পাই শ্বশুরের শারীরিক অবস্থা খারাপ। দ্রুত যেতে হবে সিরাজগঞ্জ। রাতেই লঞ্চে করে নোয়াখালী থেকে রওনা দেই। সকালে এসে ঢাকায় পৌঁছে কমলাপুর স্টেশনে যাই। কিন্তু কোনও টিকিট না পাওয়ায় যেতে পারিনি ট্রেনে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেই বাসে যাবো। গাবতলীতে এসে দেখি বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ। জানতে পারি লকডাউনের কারণে বাস চলাচল বন্ধ।

তিনি আরও বলেন, কীভাবে সিরাজগঞ্জে যাবো সেই চিন্তা করছি। ঢাকা যে কারও বাসায় থাকবো সে রকম কোনও আত্মীয়-স্বজনও নেই। যদি বাসে যেতে না পারি, তাহলে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। প্রাইভেট কারও না পেলে কী হবে জানি না, দেখি অপেক্ষায় আছি কী হয় ভাগ্যে! দুর্ভোগেতো পড়েছি, এখন নোয়াখালী ফিরে যাবো এমন কোনও ব্যবস্থাও নেই।

গাবতলী বাস টার্মিনালে আল-আমিনের মতো অনেকেই এমন অপেক্ষা করছেন নিজনিজ গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার বাস কাউন্টারগুলো প্রায় ফাঁকা পড়ে আছে। অনেক কাউন্টার বন্ধ। কাউন্টারগুলোর সামনেই অলস সময় পার করছেন যাত্রীরা।

কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যারা অগ্রীম টিকিট কিনেছিলেন তাদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এখন আসেছেন, তাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। তারপরও অনেকেই অপেক্ষা করছেন কোনওভাবে যদি গন্তব্যে যাওয়া যায়।