পুলিশের সহায়তায় এসএসসি পরীক্ষার্থী’র ফরম ফিলাপ

চলমান করোনার মধ্যে যথাসময়ে পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঘোষিত নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ফরম ফিলাপ করার কোনও উপায় ছিল না তার। এমনকি কলেজ অধ্যক্ষ বা কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থিত হয় বিষয়টি বোঝানোরও কোনও সুযোগ ছিল না।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্সের ফেসবুক পেজে সবিস্তারে জানিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এই বার্তাটি পুলিশের নজরে আসলে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ সদর দফতর থেকে পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তারা বুঝতে পারে শিক্ষার্থীটি পরিস্থিতির শিকার। তাকে এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাদলকে বার্তাটি পাঠানো হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়, উক্ত কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও উপায় থাকলে ছাত্রটিকে ফরম ফিলাপের সহায়তা করার।

শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স’র এআইজি সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়টি স্বাভাবিক পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ নয়। পুলিশের অনুরোধে এবং ছাত্রের পরিস্থিতি ও অপারগতা বিবেচনায় নিয়ে অধ্যক্ষ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করতে সম্মত হন। তবে বাস্তবতা হলো নির্ধারিত সময়ের পরে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নতুন কোনও আবেদন গ্রহণ করে না। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষেরও কিছু করার থাকে না। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়, উক্ত এলাকায় অবস্থিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর করতে। শেরেবাংলা নগর থানা বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদের দৃষ্টিতে আনেন। পুলিশের উপস্থাপনায় সেই ছাত্রের পরিস্থিতি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবেদনটি মানবিক কারণে গ্রহণ করে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।

তিনি আরও বলেন, বোর্ড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের পর কোনও আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় এবং ভবিষ্যতে এধরনের কাজে তাকে কোনওভাবেই উৎসাহিত করবে না বাংলাদেশ পুলিশ।