আমিনবাজারে অস্থায়ী স্ট্যান্ড, চলছে চাঁদাবাজি

করোনা মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে যানবাহন বন্ধ। রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিনবাজার ব্রিজের উপর দুটি চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। তবে প্রায় প্রতিদিনই পাঁয়ে হেঁটে রাজধানীতে ঢুকতে এবং বের হতে দেখা যায়। এরা আসলে কোথা থেকে হেঁটে আসেন বা কোথায় হেঁটে যান- এমন কৌতুহল থেকে কিছুটা সামনে এগিয়ে যেতেই সড়কের পাশে চোখে পড়লো ‘অস্থায়ী স্ট্যান্ড’। এখানে মোটরবাইক, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রো; অর্থাৎ বাস ছাড়া প্রায় সবধরনের যানবাহনই অপেক্ষা করছে যাত্রীদের। দর কষাকষি শেষ হলে রওনা দিচ্ছে কিছুক্ষণ পরপরই। 

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গাবতলী ব্রিজ ও আমিন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলী ব্রিজ হয়ে যারা পায়ে হেঁটে আমিন বাজারের দিকে আসছেন বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারাই যাচ্ছেন এসব যানবাহনগুলোতে। ভাড়া চাওয়া হচ্ছে প্রাইভেট কারে আরিচা ঘাট ৫০০ টাকা, মোটরসাইকেলে ৬০০ টাকা, আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো কাছাকাছি গন্তব্যে যেতে হাঁকছেন নানারকম ভাড়া।

যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন এরশাদ নামে এক যুবক। তিনি জানালেন, আরিচা ঘাটে যাবো। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে চাচ্ছি। যাত্রী পূর্ণ হলেই চলে যাবো।

এরই মধ্যে ছেড়ে গেছে কয়েকটি প্রাইভেট কার। প্রতিটি গাড়ি থেকেই টাকা নিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কিসের টাকা তোলা হচ্ছে প্রশ্ন করতেই এরশাদ বললেন, দেখতেই তো পাচ্ছেন। এখানে যাত্রী ওঠানোর অপেক্ষা করছি, সে জন্য ১০০ টাকা দিতে হবে।

আমিনবাজারে-অস্থায়ী-স্ট্যান্ড

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আমিনবাজারের আশপাশে গাড়িতে যাত্রী ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ করছে এই চক্রটি। টাকা না দিলে গাড়িতে যাত্রী ওঠাতে বাধা দেওয়া হয় বলেও জানালেন চালকরা।

মোটরসাইকেলচালক কাশেম মিয়া বলছিলেন, চাকরি হারিয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতেই লকডাউনের মধ্যেই মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। আর এখানে যাত্রী ওঠাতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়। টাকা দিলে এখানে আর কেউ ডিস্টার্ব করে না।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ কাফি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গাবতলী ব্রিজ এলাকা এবং আমিন বাজার ব্রিজ এলাকায় বিভিন্ন সময় প্রাইভেটকার, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল যাত্রী পরিবহন করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। মামলা দেয়া হয় এবং জরিমানাও করা হয়। তারপরও অনেকেই এখানে অবস্থান নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। আমরা এই এলাকাটি নজরদারিতে রেখেছি, যেকোনও ধরনের অপতৎপরতা রোধে আমরা কাজ করছি।