‘দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে’

বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় আগুন লাগা সাততলা ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এমিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের শোরুম ও কারখানা ছিল। যেখানে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। এ কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের প্রধান বলেন, এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবনের ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। সেই তাপটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি। এখানে কোনও ধরনের হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা এখন ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছি। 

তিনি বলেন, তদন্তে এমিকনের গোডাউনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না পাওয়া গেলে কিংবা কর্তৃপক্ষের গাফেলতি থাকলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনও অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিবারই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয় ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না এবং তারপর আর ভবন মালিকের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনও কার্যক্রম দেখা যায় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস ডিজি বলেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে সবসময়ই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আগুন লাগার পর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় যেন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ঘটনাতেও তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ৪ ঘণ্টার মতো সময় কেন লেগেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুনটি মূলত একটি গোডাউনে লেগেছিল। গোডাউনে বিভিন্ন মালামাল থাকায় আগুন অনেক্ক্ষণ জ্বলেছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে অনেক আগেই এসেছে। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে।