পরীমণির সঙ্গে অমানবিক আচরণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘জানি না এর পেছনে কারও হাত রয়েছে কিনা। তার সঙ্গে যা হচ্ছে তা অমানবিক। আমি মনে করি, রাষ্ট্রের অনেক কাজ জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে এবং রাষ্ট্র আমাদের বিপরীতে যাচ্ছে।’
শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে পরীমণির ন্যায়বিচার দাবিতে ‘শিল্পীর পাশে’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পরীমণি বলেছেন, তিনি এভাবে থাকলে মরে যাবেন। আমি মনে করি, অলরেডি তার সাত বছর জেল হয়ে গেছে। যে অমানুষিক অত্যাচারের মাধ্যমে তিনি গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন, এটি সাত বছরের জেলের চেয়েও বেশি।’
পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আপনারা তথ্য উদঘাটনের জন্য তাকে নিয়ে যাচ্ছেন না; বরং খুব কাছ থেকে তাকে দেখার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। না হলে তথ্য উদঘাটনের জন্য সাত আট দিন লাগতে পারে বলে বিশ্বাস করি না। এটা এক ধরনের নোংরামি।’
পরীমণির গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ভাবতেই অবাক লাগে, পরীমণি বিশ্বের কত বড় মাফিয়া, যাকে ধরতে এলিট ফোর্সকে যেতে হয়েছিল। তাকে বললেই সে থানায় যেতো, ডিবি অফিসে যেতো।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা নোমান রবিন বলেন, ‘এই জিওপলিটিক্স, আফগানিস্তানে মৌলবাদীদের উত্থান এসব কিছু একই সূত্রে গাঁথা। পরীমণি একটি উপলক্ষ মাত্র। বাংলাদেশে একটা কালচার চালু হয়েছে, একটা বাসায় কিছু পাওয়া যাক আর না যাক, ব্র্যান্ডেড মদ আর ইয়াবা যেন কোত্থেকে পৌঁছে যায়। যাদের বাসায় এসব পাওয়া যায় তাদের কিছু দিন পর জামিন হয়, তাদের নিয়ে কিন্তু কোনও নিউজ হয় না। সেখানে আপানরা দেখেছেন পরীমণিকে আদালতে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন সে বাংলাদেশকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত।’
এ সময় নির্মাতা অপরাজিতা সংগীতার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কর্মী রোম্মান রশীদ, নাট্যপরিচালক শহীদুন্নবী, সেতু আরিফ, অভিনয় শিল্পী অনামিকা জুথি, রাজদীপা, চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকিবুল হাসান, গাজী মাহবুব, চলচ্চিত্র পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবীবসহ অনেকে।
সমাবেশ শেষে অপরাজিতা সংগীতা রবিবার (২২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় শাহবাগে আবারও পরীমণির মুক্তির দাবিতে সমাবেশের ঘোষণা দেন।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন