বিমানবন্দরে র‌্যাপিড টেস্ট ল্যাব স্থাপনের দাবি আমিরাত প্রবাসীদের

দীর্ঘদিন ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়েছেন প্রায় ৭ হাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। দেশটি নতুন শর্ত দিয়েছে, বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটের ৬ ঘণ্টার মধ্যে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট প্রাপ্তদের প্রবেশের অনুমতি দেবে আরব আমিরাত। এ কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা। সোমবার (২৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।

প্রবাসীরা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৩ মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বাংলাদেশের ফ্লাইটের ওপর। এ কারণে কেউ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারছেন না। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান,  নেপালের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বিমানবন্দরে ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে র‌্যাপিড পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্টপ্রাপ্ত যাত্রীরা আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদের আরব আমিরাতে প্রবেশের পর পুনরায় দ্বিতীয়বার করোনা টেস্ট করা হবে।

দেশের আন্তজার্তিক বিমানবন্দরগুলোতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে চলমান আছে জানিয়ে প্রবাসীরা বলেন, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে মানববন্ধন হয়েছে। প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েও দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

টেস্ট ল্যাবের দাবিতে আন্দোলনরত প্রবাসীরা জানান, ফ্লাইট বন্ধ থাকায় কমপক্ষে ৭ হাজার প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরে যেতে পারেননি। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। যারা দেশটিতে চাকরি করেন, তারা কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। যাদের ব্যবসা রয়েছে তারাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ নির্দেশনা আসার পর ভারত ও পাকিস্তান ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে ফেলেছে। এই দুই দেশের প্রবাসীরা কাজে ফিরে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য কাজে ফিরতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। কয়েক হাজার প্রবাসী বেকার হয়ে পড়বেন, দেশের রেমিট্যান্স আসবে না, এই বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।

আন্দোলনরত আরব আমিরাত প্রবাসী এস এম মহিউদ্দিন বেলাল বলেন, প্রায় ৭ হাজার প্রবাসী ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, অনেকের হওয়ার পথে। শুধু দুবাই সরকার ভিসার মেয়াদ বাড়ালেও, অন্য রাজ্যগুলোতে ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। ফলে অনেক প্রবাসীদের ফিরে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছে একটি দাবি জানাচ্ছি, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে সরকারিভাবে ল্যাব স্থাপন করা হয়।