প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে নানা চ্যালেঞ্জ

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ ফেরত কর্মীদের ঋণ বিতরণে নানা রকম চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত এক অনলাইন কর্মশালায় এসব চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন বক্তারা। আলোচনায় তারা বিদেশ ফেরত কর্মীদের জন্য লিঙ্গবান্ধব ঋণ স্কিমসহ আরও কয়েকটি সুপারিশের কথাও জানান।

কর্মশালায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং প্র্যাক্টিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের সহায়তায় রামরু পরিচালিত দুটি গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রথম গবেষণাটির মাধ্যমে জানা যায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কী কী কারণে ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে ধীর গতিতে রয়েছে। দ্বিতীয় গবেষণায় জানা যায়, কিছু প্রচলিত ব্যবসায়িক ধারণা কিংবা অপ্রচলিত ব্যবসার মাধ্যমে কীভাবে এই ঋণ বিদেশ ফেরত কর্মীরা কাজে লাগাতে পারেন।

সিপিডি’র পক্ষ থেকে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং ড. শাহ্‌ মোহাম্মদ আহসান হাবীব গবেষণার মূল জায়গাগুলো তুলে ধরেন। এতে দেখা যায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অনেক ভালো কাজ করলেও বরাদ্দকৃত ঋণের অর্থ ছাড়ে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। গবেষকরা ঋণ সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং, বিদেশ ফেরত নারী কর্মীদের জন্য বিশেষ ঋণ প্যাকেজ তৈরি করার ওপর আলোকপাত করেন।

কর্মশালায় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘ঋণ বিতরণ করা নিয়ে আলোচনার পাশপাশি ঋণ নিয়ে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য বিদেশ ফেরত কর্মীদের বিভিন্ন ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা দিতে বেশি করে কাউন্সেলিং করার প্রয়োজন আছে।’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনঃএকত্রিকরণ অভিবাসন খাতে একটি নতুন ধারণা। এ বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন রামরু’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী। এতে  আরও উপস্থিত ছিলেন— প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল হক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘প্রকাশ’ প্রোগ্রামের টিম লিডার জেরি ফক্স, সিপিডি’র ড. ফাহমিদা খাতুন, পিএসি’র জেনারেল ম্যানেজার সোনিয়া শহীদ, বিএমইটি’র সাবেক পরিচালক ড. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।