বাবার মৃত্যুর ছয় মাস পরে চলে গেলেন ক্যাপ্টেন নওশাদও

বাবার পথ অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড়ে বেড়িয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। বাবা চলে গেছেন চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে, এবার পাড়ি জমালেন তিনিও। আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতের নাগপুরে একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা আব্দুল কাইয়ুমও একসময় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ডিসি-১০ উড়োজাহাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ‘কোরিয়ান এয়ার’ এবং ‘সৌদি এয়ারলাইন্সেও’ দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র এই পাইলট। চলতি বছরেই আব্দুল কাইয়ুম মারা যান। 

পেশাগত জীবনে বাবা-ছেলের যেমন মিল রয়েছে, তেমনি চলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আরেকটা মিল রেখে গেলেন তারা। দুজনেরই মৃত্যু হলো ভারতে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে আব্দুল কাইয়ুম মারা যান ভারতের কলকাতায়।

প্রসঙ্গত, ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে গত ২৭ আগস্ট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে মধ্য আকাশে হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। সিভিআর হার্ট অ্যাটাক হয় তার। 

পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইটটির (বিজি ০২২) নিয়ন্ত্রণ নেন ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম। তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করান। সেখান থেকে খুব দ্রুত ক্যাপ্টেন নওশাদকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে তার চিকিৎসা চলছিল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।