‘ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে হবে’

অনলাইনে পণ্য কেনার নামে প্রতারণার শিকার গ্রাহকদের সংখ্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। সার্বিকভাবে এই খাতে সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষায়িত সেল গঠন জরুরি বলে মনে করেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শনিবার এফডিসিতে ‘ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ' বিষয়ক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতি ও পরিবীক্ষণ না থাকায় ই-কমার্স সেক্টরে জবাবদিহি গড়ে উঠেনি। কিছু সংখ্যক মুনাফালোভী প্রতারক গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করে টাকা লুট করছে। যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ লুট করেছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থাও নিতে হবে।

এ কে আজাদ আরও বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি ব্যাংকে ঋণখেলাপীর পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ। প্রতিবছর সরকার ঋণখেলাপের কারণে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ঋণখেলাপী ১ শতাংশের বেশি নয়। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আর্থিক খাতে বিপর্যয় আসতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দেশের কোম্পানি আইন, ট্রেড লাইসেন্স আইন বা আয়কর আইনে ই-কমার্স হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হয়নি। বর্তমানে ই কমার্স ব্যবসা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায় বাংলাদেশে, ই-কমার্স খাতে নিয়োজিত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কোনও ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসা বন্ধ করে আত্মগোপন করেছে। সম্প্রতি আলোচিত ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং ই-অরেঞ্জের মালিক ও তার স্বামীকে গ্রেফতারের পর ই-কমার্সের প্রতারণার চিত্র আরও দৃশ্যমান হয়।

প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।