ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর প্রভাবে দেশের আকাশে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই ভ্যাপসা গরম পড়তে শুরু করে। আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর তীব্র তাপদাহের পর রাত সোয়া ৮টার দিকে শুরু হয় ধূলিঝড়। এর পরপরই নামে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির পরিমাণ খুবই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের, কোথাও কোথাও বজ্রপাতও হচ্ছে।

প্রায় এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বগামী। এমন পরিস্থিতিতে সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। তবে এর রেশ কাটতে না কাটতেই আজ রবিবার সকাল থেকে আবারও তীব্র তাপ ছড়ানো শুরু করে সূর্য। দিন গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ে এর তীব্রতা। তাই রাতের এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলো রাজধানীবাসীর জন্য।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
 
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরে, ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৫ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ২, সিলেটে ৩৬ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৪, বরিশালে ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত সপ্তাহের তুলনায় দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সাগরে বিচরণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।