‌‘সয়াবিন মিল’ রফতানি বন্ধের দাবি

খামারিদের রক্ষায় দ্রুত ‌‘সয়াবিন মিল’ রফতানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‌‘সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ করুন, ডেইরি-পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প রক্ষা করুন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‌‘এটি বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি-মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য দাম বেড়ে যাবে। এতে করে খামারিরা বড় ধরনের লোকসানে পড়বে। তাই সয়াবিন মিল রফতানি দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে গণমাধ্যম ‘সয়াবিন মিল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার’ শীর্ষক খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এর দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বৃদ্ধি করেছে। সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন মিল আমদানি করতে হলে এলসি করা থেকে শুরু করে বন্দরে মাল এসে পৌঁছানো পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৫০ দিন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সময় লাগে ৭০ দিন। ভারত থেকে সড়কে ৭ থেকে ১০ দিন, কনটেইনারে ১৫ থেকে ২০ দিন।’

ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত ঈদে ২৯ লাখ গবাদিপশু অবিক্রিত রয়ে গেছে। খামারিদের লোকসান কমাতে আমরা ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। সংশ্লিষ্ট সচিব বলার পর চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে মাংস ঢুকছে। আমরা এই হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধের দাবি জানাই।’

তিনি বলেন, ‘এখনই গো খাদ্যের দাম বাড়ার লাগাম টেনে ধরতে হবে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে খামার বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। তাই অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহ প্রমুখ।