সিইউবির চিত্র প্রদর্শনীতে শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য জীবন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) উদ্যোগে চলছে তিন দিনের বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী।

রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূর আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের নির্বাহী চেয়ারম্যান শাহানুল হাসান খান এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকরা জানান, ‘বাংলাদেশ: উন্নয়নের ১ যুগ’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীতে রয়েছে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক যুগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বৈশ্বিক অঙ্গনে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলোকচিত্র। শেখ হাসিনার জীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের দুর্লভ ছবিও রয়েছে প্রদর্শনীতে। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটেন অতিথিরা। পরে তারা প্রদর্শনীর বিভিন্ন আলোকচিত্র ঘুরে দেখেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, যে কাজ তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি, সেই কাজগুলোকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই মানুষটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে পরিক্রমা এবং পথনকশা তৈরি করা প্রয়োজন সেটি তিনি করেছেন। আমরা এখন আর হতদরিদ্র দেশ নই, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হতে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনকে স্মরণীয় করতে বঙ্গবন্ধুর কন্যার রাজনৈতিক সংগ্রাম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সব কিছু চমৎকারভাবে এই চিত্র প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে।

‘যখন আমরা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখছিলাম আমি অবাক হয়ে খেয়াল করছিলাম বিগত ছবিগুলো সংগ্রহ করা, তারপর সেটিকে উপস্থাপন করা এবং ধারাবাহিকভাবে শেখ হাসিনার শৈশব, কৈশোর, তার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং আধুনিক বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিষয়গুলো যেভাবে সাজানো হয়েছে তা অসাধারণ।’

প্রদর্শনীটি মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এর আগে রবিবার বেলা ১১টায় শেরাটন ঢাকা হোটেলে ফিতা ও কেক কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।