চুক্তি নবায়নে প্রবাসী কর্মীদের বাধ্য করে সৌদি স্পন্সররা

সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কর্মীদের নানাবিধ সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য সৌদি আরবকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলো। এ সময় চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে কখনও কখনও স্পন্সররা কর্মীদের বাধ্য করে বলে অভিযোগের পাশাপাশি এ বিষয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। 

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি হোটেলে আয়োজিত দেশটিতে মানবসম্পদ রফতানিকারক দেশসমূহের অনানুষ্ঠানিক সংগঠন সৌদি লেবার ফোরামের বৈঠকে এ অভিযোগ করা হয়। সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সাত্তাম আল হারবি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের আট সদস্য রাষ্ট্রের মিশন প্রধানরাও এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।

রিয়াদ থেকে পাঠানো বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী লেবার রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা এবং তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সম্ভাব্য উপায় হিসেবে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে প্রতারিত না হন এবং চাকরির চুক্তিতে উল্লেখিত শর্তসমূহ মানা হয়, সেটি দূতাবাসের মুখ্য বিষয়।’

ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘অনলাইন কন্ট্রাক্ট নবায়ন করার ক্ষেত্রে কখনও কখনও স্পন্সররা জোর করে কর্মীদের বাধ্য করে এবং কন্ট্রাক্ট রিনিউ করতে রাজি না হলে কর্মীদের তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক্সিট ভিসা প্রদান করে।’ তিনি সৌদি লেবার ফোরাম-এর নিয়মিত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে সৌদি আরবে প্রবাসী কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়।

সভায় ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী তা সমাধানের আশ্বাস দেন।

বৈঠকে মার্চ-২০২১-এ চালুকৃত লেবার রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের বিষয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদেশি কর্মীদের জন্য সৌদি আরবকে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তৈরি করার অভিপ্রায়ে বিদেশি কর্মীদের আরও অধিকার প্রদান ও সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সৌদি আরব সরকার।’