সারাদেশের শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছিল এই প্রতিবাদ সমাবেশ।

সংগঠনটির নেতাদের মন্তব্য, ‘সারাদেশে শিক্ষকদের শারীরিকসহ বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ও সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। ছোটখাটো ঘটনায় একতরফা তদন্ত করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয়। আমরা এই অবস্থার অবসান চাই।’

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের অসদাচরণের জন্য পাঁচ ধরনের শাস্তির বিধান আছে। তবে সমাবেশে শিক্ষকদের অভিযোগ, ‘অপরাধ যাই হোক সর্বোচ্চ শাস্তি বরখাস্তই করা হয়ে থাকে। বাকি চার ধরনের শাস্তি দিতে দেখা যায় না। কারণ বরখাস্ত করার শাস্তি মূলত স্কুল কমিটির পূর্বনির্ধারিত। আমরা এগুলো এতদিন আইনিভাবে মোকাবিলা করেছি। কিন্তু এখন যে শিক্ষক নির্যাতন হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে না।’

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের মানববন্ধন

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের নেতারা বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য একটি মহল সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় নেমেছে। এসব ঘটনা শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে ম্লান করে দিচ্ছে।’

বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের স্বাধীনভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং কমিটির নীতিমালায় সভাপতির যে ক্ষমতা ও দায়িত্ব রয়েছে তার মধ্যে থাকার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আরও সহানুভূতিশীল আচরণের ব্যবস্থা করাসহ শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্রের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান শিক্ষকরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শফীউদ্দীনসহ অনেকে।