ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে আয়কর অব্যাহতি ২০৩২ সাল পর্যন্ত

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও যৌথ উদ্যোগে যেসব ওষুধ কারখানা অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করবে, তারা আগামী ২০৩২ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি পাবে। ওষুধশিল্প খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রফতানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই সম্প্রতি এই কর অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এপিআই হচ্ছে ওষুধ পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল, যা আমদানিনির্ভর।

ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে ২০১৮ সালে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রফতানি নীতিমালা করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। সেটিরই প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে গত সপ্তাহে।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) মলিকিউল এবং ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন করতে হবে। আর ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর অন্তত ৫টি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।

তবে কোনও কারখানা যদি বছরে তিনটি নতুন এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করে, তাহলে ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা গুনতে হবে এবং বাতিল করা হবে ওই বছরের করসুবিধা।