‘সাম্প্রদায়িক হামলার দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে’

‘গত কয়েক বছরে সকল সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে রাষ্ট্রের পরোক্ষ মদতে। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতিও প্রতিষ্ঠিত করেছে রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তাই সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।’ বুধবার সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে নাগরিক বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল কর্মসূচিতে বক্তরা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবারও চলবে এ কর্মসূচি।

সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়, ‘হামলার ঘটনা তদন্তে গণতদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারণ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সাংষ্কৃতিক কেন্দ্র করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে এস এম আকাশ বলেন, ‘যেদিন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হলো, সেদিন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি আর থাকলো না। রাষ্ট্রধর্ম যদি ইসলাম করেন, আবার ধর্ম-নিরপেক্ষতার কথা বলেন, দুটো একসঙ্গে কোনও দিন যাবে না। এটা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এটাকে নিজেদের দেশ মনে করবে না।’

এস এম আকাশ আরও বলেন, মানুষের মধ্যে অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা দূর করতে না পারেন, সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে পারবেন না। এটা শিক্ষা দিয়ে দূর করতে হবে।  

অনুষ্ঠানে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আমরা দেখেছি, চেষ্টা করা হতো উৎসবগুলো কীভাবে নির্বিঘ্ন করা যায়। এখন ঘোষণা দিয়ে হামলা করা হচ্ছে। তাদের ঠেকানোর কেউ নেই। সরকার নেই, রাষ্ট্র নেই, প্রশাসন নেই। কারও কোনও কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। আবার অনেক ঘটনায় দেখি ফেসবুকে সামান্য মন্তব্য করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইবুানাল করে সাম্প্রদায়িক হামলার বিচারের দাবি জানান ইমরান এইচ সরকার।