অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমি মন্ত্রণালয় অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে: ভূমিমন্ত্রী

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ ও উন্নয়নে ভূমি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভূমিমন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, আমি আমার দায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করছি।’

রবিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাভুক্ত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত রেডিসন হোটেলে দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১’ -এ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত সেশনে সভাপতির বক্তব্যে উপস্থিত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এই কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনেক ভালো প্রণোদনা দিচ্ছে।’

তিনি সম্মেলনে উপস্থিত বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের জানান, আইএমএফ-এর উপাত্ত অনুযায়ী, করোনা মহামারিকালীন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।’ তিনি তার বক্তব্যে তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, ‘বৈদেশিক বিনিয়োগে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার কারণে এই দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, যা দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবুজ প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে, তা বিশ্বব্যাপী দূরদর্শী উদ্যোগ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।’

সেশনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। সেশনে কি নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এরফান শরীফ।

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রণোদনা হিসেবে ১০ বছরের কর অবকাশ ও লভ্যাংশ প্রত্যাবাসনের সুবিধা এবং ব্যবসা পরিচালনার জন্য ১২৫টি পরিষেবার ওয়ানস্টপ স্টপ সার্ভিস  সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারা দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

সেশনে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন— বেপজা’র নির্বাহী  চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া, বাংলাদেশ প্রাইভেট ইকোনমিক জোন ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএসএম মাইনুদ্দিন মোনেম এবং জাপানের সুমিটোমো করপোরেশন এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ অফিসের মহাব্যবস্থাপক শিনিচি নাগাটা।