করোনায় হরিজন নারীরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সেবা দিয়েছেন

করোনাকালীন অন্যান সেবাদানকারী পেশাজীবীদের পাশাপাশি হরিজন নারীরাও সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সেবা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন হরিজন ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'হরিজন জনগোষ্ঠীর নারীর জীবনমান উন্নয়নে আমাদের করণীয়' বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পান্নালাল বাশফোর বলেন, করোনায় সকল মানুষ যার যার গৃহে, ঠিক সেই সময় বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা হাসপাতালগুলোতে হরিজন নারীরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনাকালীন হরিজন নারীরা সাহসী ভূমিকা পালন করলেও তাদের কোনও সন্মান, ঝুঁকিভাতা, প্রণোদনা রাষ্ট্র দেয়নি। বাংলাদেশে সকলের নিরাপত্তা থাকলেও হরিজন নারীদের বিভিন্ন পৌরসভাযসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে হয়।

তিনি আরও বলেন, হরিজন নারীরা দুদিক থেকে নিষ্পেষণের শিকার। একদিকে তারা হরিজন, অন্যদিকে তারা নারী। ঐতিহাসিক কাল থেকে হরিজনদের মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রচলন থাকায় তাদের মধ্যে নারী ও শিশুমৃত্যুর হারও বেশি। উপরন্তু তারা পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়। যার কারণে নারীস্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের তেমন ধারণা নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিজ্ঞাপদে নিয়োগে নারীরা বেশিরভাগই বঞ্চিত হয়, এবং নিয়োগ পাইলেও পারিশ্রমিকে বৈষম্যের শিকার হয়।

হরিজন নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে পরিষদ থেকে বলা হয়, দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, এদেশের নাগরিক হিসেবে হরিজন নারীরাও সম-অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়।

মতবিনিময় সভায় সাংসদ মেহের আফরোজ চুমকি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বনশ্রী বিশ্বাস স্মৃতিকনা, আরডিসি'র মহাসচিব জান্নাত-এ-ফেরদৌস লাকী, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস প্রমুখ।