অভিবাসন ব্যয় শূন্যে নামিয়ে আনার দাবি

'আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১' র‍্যালির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (কাপ), অ্যাসোসিয়েশন ফর সোস্যাল ভেলেপমেন্ট অব বাংলাদেশ (এএসডিবি), বাংলাদেশ অভিবাসী শ্রমিক ফোরাম ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। র‌্যালির পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে অভিবাসন ব্যয় শূন্যে নামিয়ে আনার দাবি জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।

র‌্যালির আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম জানান, বিশ্বের অন্য সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অভিবাসন ব্যয় সবচেয়ে বেশি। অবিলম্বে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে শূন্য অভিবাসন ব্যয় করতে হবে এবং অভিবাসন ব্যয় মালিককে (চাকরিদাতা) প্রদান করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ র‍্যালি থেকে নারী অভিবাসীদের সুরক্ষা ও মর্যাদারও দাবি জানানো হয়।

র‍্যালি থেকে নারী অভিবাসী কর্মীদের উন্নয়নে আরও কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে রয়েছে, নারী-পুরুষ সকল অভিবাসী শ্রমিকের মর্যাদা মানুষ ও শ্রমিক হিসেবে সর্বাবস্থায়, সবখানে দেশে ও বিদেশে অগ্রাধিকার দিতে হবে; অভিবাসী গৃহশ্রমিকের কাজকে আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার কনভেনশন ১৮৯ অনুযায়ী কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; নারী অভিবাসী শ্রমিকের কর্মঘণ্টা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা হতে হবে। দৈনিক নির্ধারিত কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ের কাজের মজুরি দ্বিগুণ করাসহ দেশে-বিদেশে সকল নারী শ্রমিকের নির্ধারিত শ্রমঘণ্টার মজুরি আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার কনভেনশন অনুসারে প্রদান করতে হবে।

র‍্যালিতে উপস্থিত বিদেশ ফেরত নারী শ্রমিক খুরশিদা বেগম বলেন, আমি করোনার কারণে চাকরি হারিয়েছি। করোনার ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এগুলো যেন না হয় এবং এর ফলে কেউ যেন চাকরী না হারায়। আমি বিদেশে নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। দেশে এসে এখন কোনও কাজ নেই। এই অবস্থার পরিত্রাণ চাই।

বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) এচিং মারমা বলেন, এখানে আজ আমরা দাঁড়িয়েছি নারী শ্রমিকদের দাবি আদায়ে। পুরুষদের চেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নারী শ্রমিকরা। তারা তাদের সম্মানটুকুও পায় না। তাদের ন্যূনতম সম্মান দেওয়া হয় না।