সেই রুনু ভেরোনিকাকে দিয়েই শুরু হলো বুস্টার ডোজ

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে শুরুর দিকে নানান ভয়ভীতির মধ্যেই সাহস করে প্রথম টিকা নিয়েছিলেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি তাকে দিয়েই শুরু হয় দেশের টিকার কার্যক্রম। বছরের শেষের দিকে এসে আবার তাকে দিয়েই টিকার বুস্টার ডোজ পরীক্ষমূলক কার্যক্রম শুরু করলো সরকার।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান'স অ‌্যান্ড সার্জন'স (বিসিপিএসএ) মিলনায়তনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, টিকার জন্য যত টাকা লাগে সরকার দেবে। ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিতে যা যা প্রস্তুতি দরকার, আমরা নিচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমরা সুরক্ষা অ্যাপ আপটেড করছি। আইসিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২৮ ডিসেম্বরের আগে তারা আপডেট করতে পারবে না। সুরক্ষা অ্যাপে এখন নিবন্ধন করা সম্ভব না হলেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চলমান থাকবে। কার্ডের মাধ্যমে টিকা নেওয়া যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রটোকল অনুযায়ী দিয়েছি। বুস্টার ডোজও আমরা ডব্লিউএইচওর প্রটোকল অনুযায়ী দেবো। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ফাইজারের টিকা দেবো। ডব্লিউএইচও বলেছে, যারা অন্যান্য টিকা নিয়েছে তারাও বুস্টার হিসেবে ফাইজারের টিকা নিতে পারবে। আমরা শুনেছি মডার্নাও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া যায়। আমাদের স্টকেও মডার্নার টিকা আছে।

রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে বুস্টার ডোজের উদ্বোধনের পর জাহিদ মালেক, আনিসুল হক, ড. একে আব্দুল মোমেন, শ ম রেজাউল করিম, মোস্তাফা জব্বার ও ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমও বুস্টার ডোজ নেন।

বুস্টার ডোজ