মার্চের আগে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ছে না

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে মার্চের আগে ক্লাস বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রবিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীককে বরণ করে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মার্চে সংক্রমণ বেড়ে যায়। কাজেই ক্লাসের পরিধি বাড়ানোর জন্য মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। করোনার কারণে গত দুই বছর শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা অনেক রকমভাবে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পড়িয়েছি, পরীক্ষা নিয়েছি। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে কিছু না কিছু তো বাদ পড়েছে, সেখানে একটা ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণ এবং আবারও সংক্রমণের হার একটু ঊর্ধ্বগামী। কাজেই আমাদের এ বছরও করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। যদি খারাপ হয় তাহলে সেটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’

ক্লাসের সংখ্যা বা পরিধি বাড়ানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল এখন খোলা। আমরা চেষ্টা করছি ক্লাসের সংখ্যা আরেকটু বাড়াতে। একেবারে পুরো স্বাভাবিক অবস্থায় এই মুহূর্তে যেতে পারছি না। মার্চ মাস পর্যন্ত দেখতে হবে। কারণ, সংক্রমণের হার প্রতিবছরই বাড়ছে মার্চে। মার্চ যদি ভালোভাবে পার করতে পারি আশা করি আমরা স্বাভাবিকের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবো।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন কারিকুলাম নিয়ে আসছি। সেই কারিকুলাম বাস্তবায়নে করোনা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য করোনাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন কারিকুলাম এখন ট্রায়ালে যাবে, তারপরে ২০২৩ সালে বাস্তবায়নে যাবে। এর বাইরে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ দেখি না।

শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিকা চলছে। মাঝখানে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা ছিল। সেটা দূর হয়ে গেছে। এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নভেম্বরে একটু ঢিলেমি ছিল। অভিভাবকদের দিক থেকেও আমাদের কাছে মনে হয়েছে আগ্রহ একটু কম, সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় আগ্রহও কমে গেছে। এখন তো ওমিক্রনের আশঙ্কা আছে, সবাই আবারও জোর দেবে।