ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনশনে গ্রিস ফেরত ১৯ অভিবাসী

সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন অবৈধ অভিবাসনের দায়ে গ্রিস থেকে দেশে পাঠানো ১৯ জন অভিবাসী। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) তৃতীয় দিনের মতো প্রেসক্লাবের সামনে তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

অনশনরত ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আমাদের ১৯ জনকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আমরা খুব অসহায় অবস্থায় আছি। কারণ গ্রিসে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকের ১৫ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। আমরা ধার-দেনা ও জমি-জমা বিক্রি করে, কেউবা ঘর-ভিটা বন্ধক রেখে ও সুদে টাকা নিয়ে আমরা গ্রিসে পাড়ি জমিয়েছিলাম। কিন্তু শূন্য হাতে ফিরে বর্তমানে আমরা এসব ঋণের বোঝা মাথায় আমরা সর্বহারা হয়ে পথে পথে ঘুরছি। তাই আমাদের পক্ষে এত টাকার ঋণ পরিশোধ করাও সম্ভব নয়।

তারা অভিযোগ করেন, তাদের না জানিয়েই বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য কাগজপত্র দিয়ে দেয় গ্রিস পুলিশকে। পরবর্তী সময়ে ওই রাতে তাদের সবাইকে টানা-হেঁচড়া করে বিমানে তুলে দেয়। এসময় তারা বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

২০১৯ সালে ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই গিয়ে তারপর স্বপ্নের দেশ ইউরোপের গ্রিসে পৌঁছান ফেনী জেলার বাসিন্দা সোহেল। অনশনরত এই যুবক দাবি করেন, গ্রিসে পৌঁছানোর পর তার কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল। তিনি বলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকায় সেই দেশের সরকার তাদের আশ্রয় ক্যাম্পে নিয়ে যায়, এর ১৮ মাস পর বৈধতা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি তাদের জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ এবং ঋণের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য প্রত্যেকে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হোক। একই সঙ্গে, পুনরায় গ্রিসে ভিসা প্রসেসিং চালু হওয়ার পরে সবার আগে তাদের পাঠানোর সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।