গবেষণা জাহাজ ইলিশ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াবে:  মৎস্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন গবেষণা জাহাজ ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক সক্ষমতা বাড়াবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য শিপইয়ার্ডের নির্মিত ইলিশ গবেষণা জাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর খন্দকার আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র  তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়াহিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, খুলনার জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, বিএফআরআই’র ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। তবে ইলিশের সাময়িক উৎপাদন বৃদ্ধি নয়, আমরা গবেষণার মাধ্যমে  ইলিশ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়াতে চাই। ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ইলিশের গুণগত মান  নিশ্চিত করতে চাই। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ইলিশ কখনও বিপন্ন যাতে না হয়, সেজন্য আমাদের গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে। বিভিন্ন ল্যাবরেটরি রয়েছে। ইলিশ গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষণা জাহাজ বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা চাই, নদীমাতৃক বাংলাদেশে যেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ পাওয়া যায়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘খুলনা শিপইয়ার্ডে গবেষণা জাহাজ নির্মাণ আমাদের সক্ষমতার পরিচয়। জাহাজ নির্মাণে ভবিষ্যতে আমরা বিদেশের ওপর নির্ভর করবো না।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড  এই গবেষণা জাহাজটি নির্মাণ করেছে। ৮৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৯ দশমিক ৬৮ ফুট প্রস্থের জাহাজটিতে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো-সাউন্ডার, নেভিগেশন এবং অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদি, আধুনিক ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি, নেটিং সিস্টেম, পোর্টেবল মিনি হ্যাচারিসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। জাহাজটি দিয়ে নদী এবং সাগরের মোহনায় ইলিশের প্রজনন এবং বিচরণক্ষেত্রের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ এবং নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ইলিশের সর্বোচ্চ সহনশীল উৎপাদন, ইলিশের গতিবিদ্যা, জীবনচক্র ও উৎপাদনশীলতার ওপর পরিবেশ ও জলবায়ুগত প্রভাব নির্ণয় সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা হবে।