ডিজিটাল না হলে বাংলাদেশ অন্ধকারে থাকতো: সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী 

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, ডিজিটাল না হলে বাংলাদেশকে অন্ধকারে থাকতে হতো। তিনি বলেন,  ‘ডিজিটাল কথাটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। তবে আজ কোভিড-১৯ এসে বুঝিয়ে দিলো— যদি বাংলাদেশ ডিজিটাল না হতো, তাহলে বাংলাদেশকে অন্ধকারে  থাকতে হতো।’

বুধবার (৫ ডিসেম্বর)  সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘কুতথ্য, গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে  জাতীয় কর্মশালা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে যাই, বিদেশে বসেই  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী যখন বাইরে যান, সেখানে থাকতে হয়, তখন বাংলাদেশকে তো তিনি থামিয়ে রাখেন না, কোনও সিদ্ধান্ত কিংবা ফাইল নিষ্পত্তির কারণে। কোভিড চলাকালে এক সেকেন্ডও বাংলাদেশ থেমে থাকেনি। এসব কিছু হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার কারণে।’

তরুণরা চাইলে অনলাইনে গুজবের মহামারি ঠেকাতে পারে বলে মন্তব্য করে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপশক্তির বিরুদ্ধে তরুণরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তরুণরা দেশের ভালো-মন্দ তুলে ধরবে। একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার প্রতিরোধ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আগের যুগেও ভুল তথ্যের কারণে বিভিন্ন গোত্রে যুদ্ধ হয়েছে। আজকেও ভুল তথ্যের কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব প্রতিরোধে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) আয়োজিত কর্মশালায় যশোর ও ময়মনসিংহে সাত মাস ধরে প্রশিক্ষিত ২০ সদস্য ছাড়াও সাংবাদিক, পেশাজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, উন্নয়নকর্মীরা অংশ নেন। শুরুতেই মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার। এর পর মুক্ত আলোচনায় প্রশিক্ষিত টিসিএস সদস্যরা অংশ নেন।

কর্মশালায় আলোচনায় অংশ নেন— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জীবনানন্দ জয়ন্ত, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জন উদ্যোগের আহ্বায়ক ড. মোশতাক হোসেন, ইউএনডিপির প্রোগ্রাম অফিসার রেবেকা সুলতানা, অ্যাকশন এইডের ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান, এইজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি হাসান আলী, সমাজকর্মী হাফিজ আদনান রিয়াদ, অক্সফামের সোশিও ইকোনমিক স্পেশালিস্ট গিতা অধিকারী।

কর্মশালায় আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মাসলেম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ প্রমুখ।