স্বত্বাধিকারীর অধিকার নিশ্চিত করবে ‘মুড সিংগার’

প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের প্রায় সর্বস্তরের সংগীত সংশ্লিষ্ট স্বত্বাধিকারীরা নিজ নিজ প্রাপ্য রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও ইউটিউব, ফেসবুক, স্পটিফাই এর মতো শক্তিশালী ডিজিটাল মাধ্যমের স্থানীয় প্রতিনিধি কিংবা বাংলাদেশের কোনও অফিস না থাকায় দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্নভাবে দেশের সংগীত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়্যালটি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর সমাধান হতে পারে ‘মুড সিংগার’।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও মুড সিংগার-এর যৌথ উদ্যোগে ‘সংগীতে মেধাস্বত্বাধিকার: স্ট্রিমিং ও রয়্যালটি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।বৈঠকে 

সভায় মুড সিংগারের প্রতিনিধিরা নিজেদের অ্যাপের বিভিন্ন কলা-কৌশল বা ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সেমিনারে উপস্থাপন করেন। তারা জানান, সংগীতের যে কোনও স্বত্বাধিকারী তাদের গান এই অ্যাপের মাধ্যমে সম্প্রচার করতে পারবে এবং শ্রোতাদের সংখ্যার ভিত্তিতে নিজ নিজ রয়্যালটিও প্রাপ্য হবেন। অন্যান্য বিদেশি অ্যাপের মতো গান শোনার অ্যানালেটিকস বা হিসাব বিবরণীও নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিত্তিতে ই-মেইলযোগে সংশ্লিষ্ট স্বত্বাধিকারীর কাছে পৌছে যাবে, যা পাসওয়ার্ডের ইনপুট দিয়ে স্বত্বাধিকারী দেখতেও পারবেন।

অ্যাপটি তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুশতাক।

অ্যাপটির মাধ্যমে দেশের সংগীত জগতে একটি নতুন ধারার সূচনা হবে মর্মে সভায় উপস্থিত বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। রক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. খুরশিদা বেগম সাঈদ, কন্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু, লোকসংগীত শিল্পী আবু বকর সিদ্দিকসহ আরও অনেকে।