শিক্ষাবিদদের পর এবার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে ইসির বৈঠক

শিক্ষাবিদদের পর এবার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের জন্য ইসি বিভিন্ন সেক্টরের ৪০ জন বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন এ কমিশন দেশের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ওই সংলাপে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন ইসির ডাকে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নেন। এ কারণে এবার বেশি সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গত সংলাপে আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা না আসার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে অংশগ্রহণ বাড়াতে তারা আমন্ত্রণকারীদের সংখ্যা কিছু বাড়াবে।

ইসি সূত্র জানায়, ২২ মার্চ সংলাপে যে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে— তাদের মধ্যে আছেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দীন খান, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, রোকেয়া আফজাল রহমান, হোসেন জিল্লুর রহমান, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, মির্জা আজিজুল ইসলাম, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগিরক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান ও মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান,   বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, আইনজীবী শাহদীন মালিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদের  সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান, বাংলাদেশ ইনডিজিনাস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট জহুরুল আলম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুল হাফিজ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম,  সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিনহা এম এ সাঈদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, আবুল বারাকাত, আমেনা মহসিন, কাবেরী গায়েন, রোবায়েত ফেরদৌস, এসএম শামীম রেজা, শেখ হাফিজুর রহমান।

এর আগেও বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছিল। তবে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় সংলাপে যেসব সুপারিশ এসেছিল, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশিরভাগ সুপারিশই আমলে নেওয়া হয়নি।

নূরুল হুদা কমিশনের বিদায়ের পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন শপথ নেয়। কমিশন এখনও সে অর্থে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেনি।