‘কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের’ শিকার আওয়ামী লীগ নেতা টিপু

রাজধানীর শাহজাহানপুরে জনসম্মুখে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ‘কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের’ শিকার হয়েছেন। একটি চক্র ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাকে খুন করিয়েছে। তবে এই চক্রের বিষয়ে এখনই মুখ খুলছে না পুলিশ। হত্যাকাণ্ডটি প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে কিনা তাও নিশ্চিত হতে আরও সময় চায় পুলিশ।

রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানান।

এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ আকাশ (৩৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এই আকাশই সেদিন শাহজাহানপুরে যানজটে আটকে থাকা টিপুকে গুলি করে। ঘটনার আগেরদিনও সে একবার ওই মোটরসাইকেল ও অস্ত্র নিয়ে টিপুর অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। সেদিন সে তাকে হত্যা করতে পারেনি। পরেরদিন আবার তাকে অনুসরণ করে তাকে গুলি করে। এসময় তার সঙ্গে আরেকজন ছিল। তার নাম জানতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে প্রেস ব্রিফিংয়ে তা বলা হয়নি।

ঘটনার পর কয়েকজন তাকে একটি গাড়িতে করে জয়পুরহাট নামিয়ে দিয়ে আসে। সেখান থেকে সে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। সৌভাগ্যবশত সে সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতার আকাশের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কাইশকানি এলাকায়। তার বাবা মোবারক হোসেন একজন স্কুল শিক্ষক। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে শাহজাহানপুর রেলগেটের পাশে জ্যামে আটকে থাকা প্রাইভেটকারে মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে এক দুর্বৃত্ত। এতে টিপু ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পাশে রিকশায় বসে থাকা বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতির গায়েও গুলি লাগে। পরবর্তী সময়ে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িচালক মুন্না চিকিৎসাধীন।

পরে শাজাহানপুর থানায় জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি হত্যা মামলা দায়ের করেন।