বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

প্রায় ৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের দেওয়া তার জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে বানকো সিকিউরিটিজে থাকা সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য খতিয়ে দেখে। তখন স্টক এক্সচেঞ্জের মনিটরিং বিভাগ তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রাথমিকভাবে ৬৬ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা যায়। এ ঘটনায় দুদক মামলা করে।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ২৯ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আবদুল মুহিতকে আটক করে। পরদিন ৩০ জুন গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পরে এই মামলায় বিচারিক আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন তিনি। তবে গ্রাহকের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা অন্যত্র সরানোর অভিযোগের মামলায় বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতের জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।