মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করা হয়েছে।

পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ডেপুটি-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মিলন মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা, ভারতীয় বাঙালি, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধি, থিংক ট্যাংক ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার চিরঞ্জীব সরকার আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার একই স্থানে উচ্ছ্বাস-মুখর পরিবেশে একত্রিত হওয়ার এক সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে অভিহিত করেন। উপ-হাইকমিশনার বাংলা বর্ষবরণ’কে বাঙালি সংস্কৃতির এক আবহমান কৃষ্টি হিসেবেও উল্লেখ করেন।

এরপর সন্ধ্যার নৃত্যাঞ্জলী নামে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংঙ্ঘের উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে শিল্পীরা বৈশাখীর গানে গানে এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন তাদের স্থানীয় ভাষায় সংগীত পরিবেশন করেন। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রচলিত নানাধরনের পিঠা, বিভিন্ন নিরামিষ ভর্তা ও বাযালির ঐতিত্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। অতিথিরা এ আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।