তেঁতুলতলা নয়, কলাবাগান মাঠে শিশুদের খেলতে ডিএমপির পরামর্শ

তেঁতুলতলা নয়, কলাবাগান মাঠে শিশুদের খেলতে পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কলাবাগান থানার জন্য পাওয়া তেঁতুলতলা মাঠটি সব নিয়ম কানুন মেনেই বরাদ্দ হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশের এই ইউনিট। এমনকি খেলার মাঠ ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব ডিএমপির নয় বলেও জানায় তারা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেনের পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ হতে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে সরকার ডিএমপি’র আওতাধীন কলাবাগানে থানা নির্মাণের জন্য দেশের প্রচলিত সব আইন-কানুন মেনেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি কোনও ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়।

ডিএমপি জানায়, জনস্বার্থে কলাবাগান থানার জন্য ধানমন্ডি মৌজার ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর সব বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। কলাবাগান থানার জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি জরিপ অনুযায়ী সরকারি সম্পত্তি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপি কোনও ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়।

জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনও আপত্তি নেই মর্মেও ছাড়পত্র পাওয়া যায়।

জায়গাটির প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার অরবান রেসিডেনশিয়াল জোন হিসেবে চিহ্নিত আছে মর্মে নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র আছে। সরকারের প্রচলিত আইন ও নীতি অনুসরণে অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের অনাপত্তি পত্র পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসীর নিরাপত্তার সুবিধার্থে ওই জমিতে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। ঢাকা জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত পাঠান।

সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ০.২০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসক জমির ক্ষতিপূরণ মূল্যবাবদ ডিএমপি কমিশনার বরাবর ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকার প্রাক্কলন পাঠন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে এই টাকার ব্যয় মঞ্জুরি পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসক বরাবর প্রাক্কলিত টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়, ঢাকা সরেজমিনে ডিএমপিকে ওই জমির দখলভার হস্তান্তর করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা-০৪, অধিগ্রহণ মামলা নং-০৪.২০.০৮/২০১৯-২০২০ কলাবাগান থানার ০.২০ একর জমি অধিগৃহীত ও দখল হস্তান্তর বিষয়ে বাংলাদেশ গেজেট এর ষষ্ঠ খণ্ডে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়।

গত ২৭ মার্চ ওই জমির নামজারি ও জমাভাগকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। প্রস্তাবিত থানার জায়গা তেঁতুলতলা মাঠ হতে কিছু দূরে কলাবাগান মাঠ রয়েছে। সেখানে বাচ্চাদের খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।