ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ বাড়েনি বাস টার্মিনালে

ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে এখনও বাস টার্মিনালগুলোতে তেমন চাপ চোখে পড়েনি।

শুক্রবার (৬ মে) রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে। শিডিউল অনুযায়ী সকালে বিভিন্ন পরিবহনের বাস এসব টার্মিনালে এলেও যাত্রীদের তেমন চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।

বাস চালক ও সহকারীরা জানিয়েছেন, এবছর ঈদে দীর্ঘ ছুটির কারণে যাত্রীরা ভাগ ভাগ হয়ে বাড়ি গেছেন। একই কায়দায় তারা ফিরছেনও। সেজন্য বাসে চাপ নেই। তবে শনিবার এই চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

সকাল ৭টার দিকে বগুড়া থেকে গাবতলীতে আসে হানিফ পরিবহনের একটি বাস। যাত্রী শাহজালাল সিহাব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে বাসে উঠেছি। রাস্তায় হালকা যানজট ছিল। তবে বাসে তেমন যাত্রীর চাপ ছিল না।’

সিহাব একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। রবিবার থেকে তিনি অফিস করবেন। একদিন আগেই ঢাকা এসেছেন।

বাসটির সহকারী রাসেল বলেন, ‘রাস্তায় যাত্রী নেই। আমরা যে কজনের টিকিট কেটেছি, তাদেরই নিয়ে এসেছি। প্রতিবছর বাড়তি বাস দিতে হয়। এবার তা লাগছে না।’

এদিকে সায়েদাবাদে খুলনা থেকে ফেরা আসলাম হোসেন বলেন, ‘বাসেই যাই সবসময়। পরিবার নিয়ে ফিরছি। শনিবার থেকে অফিস করতে হবে।’

সায়েদাবাদেও যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি। তবে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য দেখা গেছে অনেক।

এসব টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাই ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ থাকে টার্মিনালে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে কথা হয় রাশিদার সঙ্গে সঙ্গে। তিনি দুই সন্তান নিয়ে নেত্রকোনা থেকে ফিরেছেন।

রাশিদা বলেন, ‘অনেকদিন বাড়িতে ছিলাম। দুই সন্তানের স্কুল খোলায় তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসতে হয়েছে। রাস্তায় কোনও ঝামেলা হয়নি। এবারের বাস যাত্রা ছিল নিরাপদ।’

নোয়াখালী থেকে আসা হাসান বললেন, ‘এবার খুব ভালো ঈদ হয়েছে। যেতেও কষ্ট হয়নি, আসতেও সমস্যা হয়নি।’

পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের বাস সহকারী রাজ্জাক বলেন, ‘ঈদের ছুটি এখনও চলছে। তাই মানুষ কম আসছেন। তবে শনিবার চাপ বাড়বে। বাড়তি যাত্রীর কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’

এদিকে রাজধানী এখনও ফাঁকা। বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস-আদালত খুললেও উপস্থিতি ছিল কম। রবিবার অফিস হওয়ায় শনিবার ফিরতে দেখা যাবে অনেককে।